ভাষা ও সংস্কৃতিকঃ-
কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। শুরু থেকে চট্টগ্রামে আরাকানী মঘীদের প্রভাব এই অঞ্চলের ভাষায় লক্ষনীয়। ফলে গ্রামীণ সংস্কৃতিতে ও এর যথেষ্ট প্রভাব এখনো সুবিদ্ধমান।তাছাড়া বেশীর ভাগ মানুষ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে।যা অনেকাংশে চাটগাইয়া ভাষা নামে পরিচিত।এই আঞ্চলের ভাষায় সুফী-সাধকের প্রভাব ও যথেষ্ট পরিলক্ষিত হয়।
খেলাধুলা :
শিক্ষা সংস্কৃতিতে আবহমান কাল থেকে যেমন সমৃদ্ধ ঠিক তেমনি খেলাধুলায়ও এই ইউনিয়ন একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। দেশজ খেলাধুলার পরিবর্তে ভিনদেশী খেলা এখন আমাদের সন্তানদের কাছে অতি প্রিয়। লালন, হাছান, সুকন্দ দাসের গান এখন আর যেমন শোনা যায় না তেমনি চোখে পড়ে না হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্দা, কানামাছি খেলা। একসময় গাঁ-গ্রামে বলি খেলা নিয়ে কতনা মাতামাতি, নাচানাচি হতো, এক গাঁয়ের বলির সাথে অন্য গাঁয়ের বলির খেলা শুধু খেলা ছিল না, ছিল দু’গাঁয়ের মান-ইজ্জতের বিষয়। হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্দা, কানামাছি, বাঘবন্ধী, লাঠি খেলা কিংবা সাঁতার, নৌকা বাইচ, গোল্লাছুট, ডাংগুলি, মোরগ লড়াই, ঘুঁড়ি উড়ানো, কবুতর খেলা এসবই আমাদের পূর্ব পুরুষের স্মৃতির সাথে জড়ানো। আষাঢ়ের বাদল দিনে গৃহকোণে ষোলগুটি খেলার স্মৃতি আজও অনেক বৃদ্ধের মনে দোলা জাগায় নিঃসন্দেহে। ইংরেজ প্রবর্তিত ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাটমিন্টন খেলার দাপটে আমরা হারিয়ে ফেলছি এইসব সোনালী দিনের জনপ্রিয় খেলাগুলো। সারাদেশে ক্রিকেট খেলার জনপ্রিয়তার সূত্র ধরে ফটিকছড়িতে আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে ক্রিকেটের আয়োজন শুরু হয়। সর্বত্র তরুণ যুবকেরা এখন ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা নিয়ে মাতামাতি করছে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS